স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের গৌরারং গ্রামে সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও দোষীদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচার দাবি করেছেন জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ। গতকাল সোমবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নেতৃবৃন্দ। এসময় তাঁরা সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে ঘটনার বর্ণনা শুনেন এবং হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান। নেতৃবৃন্দ সংখ্যালঘু পরিবারের পাশে থেকে তাদের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এ সময় এলাকার শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের গৌরারং গ্রামে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের কারণে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওই জায়গার মালিকগণ জীবন রক্ষার জন্য গত রোববার সুনামগঞ্জ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন এবং এ আলোকে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ গত রোববার রাত ৮ ঘটিকায় এবং রাত ১১ ঘটিকায় দু’দফা সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়িতে হামলা চালায় এতে ৭ জন আহত হন। এছাড়া সংখ্যালঘু পরিবারের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। আমরা এ ধরনের অমানবিক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং দোষীদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচার দাবি করছি। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করে ভবিষ্যতে যাতে এর পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
বিবৃতিদাতারা হলেন- জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের পক্ষে নৃপেশ তালুকদার নানু, বিমল বণিক, দেবব্রত দাস, শুভব্রত বসু, স্বপন কুমার দাস, সন্তোষ রায়, পৌর কাউন্সিলর চঞ্চল কুমার লোহ, বিমান রায়, বিপ্রেশ রায় বাপ্পী, প্রভাত শর্মা, নবেন্দু দাস, সুজিত দে, সুমন সাহা, বিপ্ল¬ব তালুকদার, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের পক্ষে দীপক ঘোষ, অ্যাড. মলয় চক্রবর্তী রাজু, অভিজিৎ চৌধুরী, অ্যাড. বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, অ্যাড. রতন রায়, অ্যাড. গৌরাঙ্গ দাস, অ্যাড. রাধাকান্ত সূত্রধর, চন্দন রায়, স্মৃতিরতœ দাস প্রমুখ।