বিশেষ প্রতিনিধি ::
৬ষ্ঠ ধাপে ৪ জুন তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এখনও প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়নি প্রার্থীদের। আগামী ২ মে প্রতীক বরাদ্দ দেবে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু প্রতীক বরাদ্দের আগেই আওয়ামী লীগ (নৌকা প্রতীক) ও বিএনপি (ধানের শীষ প্রতীক) সমর্থকরা দলের প্রার্থীদের ছবি ও প্রতীকসহ পোস্টার আকারে ফেসবুকে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে বলে মনে করছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা।
তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মুর্শেদ আলম তাঁর নিজস্ব ফ্যান পেইজে ঘোড়া প্রতীকের ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘মোর্শেদ আলম ভাইর ঘোড়া মার্কা, সবার সেরা মার্কা ঘোড়া মার্কা, ৪ জুন তারিখের মার্কা ঘোড়া মার্কা।’
একই ইউনিয়নের আ.লীগের প্রার্থী নিজাম উদ্দিনকে সমর্থন জানিয়ে শামীম আহমেদ নামের একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘দক্ষ দেখে পক্ষ নিন, নিজাম উদ্দিনের সালাম নিন, নৌকা মার্কায় ভোট দিন।’
উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল হোসেন খাঁ-কে নিয়ে ফরহাদ হোসেন লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব আবুল হোসেন খাঁ-কে নির্বাচিত করে এলাকার উন্নয়নের ধারা বজায় রাখুন।’
জামালগঞ্জের সাচনাবাজার ইউনিয়নের আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম শামীমের নৌকা প্রতীকের পোস্টার দিয়ে তাঁর ছেলে রিয়াজ আহমেদ মেহেদী ভোট প্রার্থনা করেছেন ফেসবুকে।
জামালগঞ্জের ফেনারবাঁক ইউনিয়নের করুণা সিন্ধু তালুকদারের পক্ষে টিটু তালুকদার লিখেছেন- ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু, আসন্ন জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাঁক ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিত, জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসেবে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত করুণা সিন্ধু তালুকদারকে নৌকা প্রতীক প্রদানের জন্য মাননীয় শেখ হাসিনাকে আমাদের নয়মৌজা জনকল্যাণ যুব সংঘের পক্ষ থেকে অভিনন্দন। সবাইকে অনুরোধ করা যাচ্ছে যে, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন।’
শিহাব নামের আরেক ফেসবুক ব্যবহারকারী ছবি ও ধানের শীষ প্রতীক দিয়ে লিখেছেন, ‘তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী মো. আজাহার আলীকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন।’
তাহিরপুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস বলেন, প্রতীক বরাদ্দের আগে পোস্টার ছাপিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন।