সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা সংক্রান্ত দুটি আবেদনের বিষয়ে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক হারুন-অর রশিদকে পুনরায় জেরা ও মামলার তদন্ত নথি তলব চেয়ে করা আবেদন দুটি খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট।
এ আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টে আপিল করবেন খালেদা জিয়া। বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন আইনজীবী রাগিব রউফ চৌধুরী। জানতে চাইলে এই আইনজীবী বলেন, ‘আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে আমরা আপিল করবো।’ তবে কবে নাগাদ আপিল করবেন সে বিষয়টি ¯পষ্ট করেননি এই আইনজীবী।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রোববার আদেশ দেন।
আদালত তার আদেশে বলেন, ‘সামারিলি রিজেক্টেট।’ এ আদেশের ফলে এ মামলার কার্যক্রম বিচারিক আদালতে যথারীতি চলবে বলে জানিয়েছেন দুদকে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মাদ আলী, ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী। অপরদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান কবির।
এর আগে গত মঙ্গলবার আদেশের জন্য দিন ঠিক করেছিলেন আদালত। গত ২১ এপ্রিল অবকাশের সময় হাইকোর্টের বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত নিয়মিত বেঞ্চে মামলাটি শুননির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে আবেদন করার জন্য বলেন।
ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গণে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে এ মামলার কার্যক্রম চলমান আছে। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট ৫ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় এ মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
খালেদা জিয়া ছাড়া মামলার অপর আসামিরা হলেন তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।