সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে যৌন নিপীড়ন মামলায় আড়ই মাসে তৃতীয়বারের মতো পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। এ কারণে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য চতুর্থবারের মতো ২ জুন নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম এ কে এম মঈনুদ্দিন সিদ্দিকীর আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু পিবিআই প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় বিচারক নতুন করে এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর আলোচিত এ মামলায় কোনো আসামিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি জানিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই দীপক কুমার দাস।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ডিবির চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ না করে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার মামলাটি পুনঃতদন্ত করে ২৩ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন। কিন্তু এক মাস পর ধার্য দিনে আদালতে মামলার পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হয় পিবিআই। পরে ঢাকা মহানগর হাকিম নুরু মিয়ার আদালত আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৭ এপ্রিল নতুন দিন ধার্য করেন । কিন্তু ১৭ এপ্রিলও আদালতে পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারেনি পিবিআই। এদিন ঢাকা মহানগর হাকিম নুরু মিয়ার আদালত ১০ মে প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ধার্য করেন। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার তৃতীয়বারের মতো প্রতিবেদন দিতে পারেনি পুলিশের তদন্ত সংস্থাটি।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় বাংলা বর্ষবরণ উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকে একদল যুবক নারীদের যৌন নিপীড়ন করে। এ ঘটনায় পরদিন ১৫ এপ্রিল শাহবাগ থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ মামলা দায়ের করেন। তবে শুরু থেকেই পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ঘটনাকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলা এবং তদন্তের উদ্যোগ নেয় পুলিশ। প্রায় এক মাস পর ১৭ মে পুলিশের মহাপরিদর্শক-আইজি এ কে এম শহীদুল হক জানান ক্লোজড সার্কিট-সিসি ক্যামেরার ছবি দেখে আট যৌননিপীড়ককে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা দেন তিনি। কিন্তু আট মাস পর গত ১৩ ডিসেম্বর আদালতে মামলার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন ডিবি এসআই দীপক কুমার দাস। এতে তিনি বলেন, পুলিশ অপরাধী কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি।
এনিয়ে বিভিন্ন ছাত্র ও নারী সংগঠন পুলিশের কড়া সমালোচনা করে। অভিযোগ ওঠে যৌন নিপীড়নের ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। এরপর আদালত মামলাটি পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেয়। কিন্তু সেই পুনঃতদন্ত এখনও শেষ করতে পারেনি পিবিআই।