সামছুল ইসলাম সরদার ::
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দিরাই উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান নিজ দলীয় মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। বঞ্চিতরা দলীয় দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মনোনয়ন নিয়ে বাণিজ্যের অভিযোগ তুলেছেন।
রফিনগর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান, সিলেট মদন মোহন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর চৌধুরী বলেন, ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ আমার পক্ষে থাকলেও উপজেলার দায়িত্বশীল নেতারা অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে জনবিচ্ছিন্নদের মনোনয়ন দিয়েছেন।
জগদল ইউনিয়নে চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সালাম বলেন, কেন্দ্র থেকে প্রথমে আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। এর ৪-৫ দিন পরে আমাকে বাদ দিয়ে এমন একজনকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয় যিনি সব সময় সিলেটে থাকেন। জনগণের সাথে তার কোন স¤পর্ক নেই। আগে রাজনীতিতে সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিদের মূল্যায়ন করা হত এখন টাকাই সব।
তাড়ল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হক তালুকদার বলেন, আমি ওই ইউনিয়নের তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। অনেক হুলিয়া মাথায় দলীয় আদর্শ কে ধরে রেখেছি। দলের দুর্দিনে দলের সাথে রয়েছি। ইউনিয়নবাসীর আশা ছিল আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হব, আমার মনে হয় আমি টাকার কাছে হেরেছি।
সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান চৌধুরী বলেন, অনেক লোভনীয় অফার পেয়েও নিজ স্বার্থের জন্য বিএনপি ত্যাগ করিনি। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হল আমাকে কিংবা বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীকে দলীয় মনোনয়ন না দিয়ে উপজেলা ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতির হাতে আমাদের দলীয় প্রতীক ধানের শীষ তুলে দেয়া হয়েছে। স্থানীয় বিএনপির দায়িত্বশীলরা অর্থের বিনিময়ে শিবির কর্মীর হাতে ধানেরশীষ তুলে দিয়েছেন। আমার ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি, সাধারণ স¤পাদক ও সাংগঠনিক স¤পাদক বিষয়টি লিখিতভাবে বিএনপির কেন্দ্রীয় সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক স¤পাদক ডা. শাখাওয়াত হাসান জীবনসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে জানিয়েছেন। যেখানে টাকার বিনিময়ে দলের আদর্শ বিক্রি হয়, সেখানে ভাল মানুষ রাজনীতি করতে পারে না।