স্টাফ রিপোর্টার ::
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও ধর্মপাশা উপজেলায় পৃথক তিনটি ঘটনায় পানিতে ডুবে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা গেছেন দাদা ও নাতি। রোববার দুপুর দেড়টায় হাওর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করেছেন স্বজনরা। দাদা নাতির মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মারা যাওয়া দু’জন হলেন কাপ্তান মিয়া (৬৫) ও তাঁর নাতি রুহান আহমদ (১৪)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাউয়াজুরি গ্রামের কাপ্তান মিয়া (৬৫) তাঁর নাতি রুহান আহমদ (১৪)-কে নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ি পার্শ্ববর্তী হাওরে মাছ ধরতে যান। রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাঁদের আশপাশে খোঁজ নিয়েও সন্ধান পাননি। রোববার দুপুরে হাওরে তাঁদের লাশ পানিতে ভাসতে দেখেন স্বজনরা। পরে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়। বেলা আড়াইটায় লাশ দু’টি স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ওসি আল আমিন বলেন, যে হাওরে দাদা নাতির লাশ পাওয়া গেছে সেটা পার্শ্ববর্তী দিরাই উপজেলায়। তবে তাঁদের বাড়ি দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায়। স্থানীয়রা আমাকে লাশ পাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন।
এদিকে উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের বড়মোহা গ্রামে আরিফ মিয়া (৬) নামে এক শিশু পানিতে ডুবে মারা গেছে। সে বড়মোহা গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে ৪টায় বড়মোহা গ্রামস্থ বাড়ি পার্শ্ববর্তী পুকুরে বড় ভাই আহসান (৮) ও ছোট ভাই আরিফ মিয়া (৬) সাঁতার কাটতে যায়। এসময় ছোট ভাই আরিফ মিয়া পানির নিচে তলিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক বড় ভাই আহসান বাড়িতে গিয়ে খবর দিলে আশপাশের লোকজন আরিফকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে শান্তিগঞ্জ বাজারস্থ স্থানীয় ডাক্তারের নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই মাজহারুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে পরিবারের কারো অভিযোগ না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়াই স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় লাশ দাফনের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।
অপরদিকে, ধর্মপাশা উপজেলার জারারকোণা গ্রাম সংলগ্ন বৌলাই নদীর উত্তরপাড় থেকে গতকাল রোববার সকালে নূরুল আমিন (৫৫) নামের এক কৃষকের লাশ উদ্ধার করেছেন গ্রামবাসী। তাঁর বাড়ি উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের জারারকোণা গ্রামে।
এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল চারটার দিকে উপজেলার জারারকোণা গ্রামের কৃষক নূরুল আমিনসহ আরও ৪-৫জন পার্শ¦বর্তী কালিয়াজান হাওর থেকে মাড়াই করা ধান নিয়ে নৌকাযোগে নিজ বাড়িতে উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। নৌকাটি বৌলাই নদীর মধ্যবর্তী স্থানে এলে ঝড়ো বাতাসে উল্টে গিয়ে তলিয়ে যায়। নৌকায় থাকা অন্যান্যরা সাঁতরে তীরে উঠলেও নূরুল আমিন নদীর পানিতে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হন। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে দশটার দিকে বৌলাই নদীর উত্তরপাড় থেকে ভাসমান অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করেন গ্রামবাসী।