1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩৩ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

মুক্তিযুদ্ধ অবমাননায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

  • আপডেট সময় রবিবার, ৮ মে, ২০১৬

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অবমাননাকর প্রচার-প্রচারণায় উস্কানি কিংবা মদদ দেয়ার দায়ে শাস্তির বিধান রেখে নতুন আইন হচ্ছে। আইনে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড কিংবা অন্যূন ৩ বছর কারাদন্ড এবং অনধিক ১ কোটি টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দন্ডিত করার বিধান সংযোজনের প্রস্তাব করা হেয়েছে।
‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৬’ নামে অভিহিত আইনটির খসড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে রয়েছে। শিগগিরই আইনটি মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য তোলা হবে।
প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির যদি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কিংবা আদালত কর্তৃক মীমাংসিত মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কোনো বিধান নিয়ে কোনো ধরনের প্রপাগান্ডা, প্রচারণা কিংবা এতে মদদ দেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে তাকে এ সাজা দেয়া হবে।
একই সঙ্গে প্রস্তাবিত আইনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে অবমাননাকর কিছু প্রচারের প্রমাণ মিললে দায়ী ব্যক্তিকে একই শাস্তি পেতে হবে। প্রস্তাবিত এ আইনের আওতায় দায়ের করা মামলায় অভিযোগ গঠনের তারিখ হতে সর্বোচ্চ ১৮০ দিনের মধ্যে বিচারকার্য সমাপ্ত করার বিধানও সংযোজন হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মামলা নি®পন্নে ব্যর্থ হলে তার কারণ জানিয়ে অনধিক আরো ৯০ দিন সময় বাড়াতে পারবেন সংশ্লিষ্ট বিচারক।
মুক্তিযুদ্ধ স¤পর্কে অবমাননাকর প্রচারণা কিংবা প্রচারণায় উস্কানির অভিযোগ আমলযোগ্য ও অজামিনযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে বলে আইনের খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ক¤িপউটার, ই-মেইল বা ক¤িপউটার নেটওয়ার্ক, রিসোর্স বা সিস্টেম ব্যবহারের মাধ্যমে এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করেন, তা হলে তার উক্ত কার্য হবে একটি অপরাধ। কোনো ব্যক্তি উক্ত অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করার ক্ষেত্রে মূল অপরাধটির জন্য যে দন্ড নির্ধারিত আছে তিনি সেই দন্ডেই দন্ডিত হবেন।
আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, এসব অপরাধের বিচার হবে সাইবার ক্রাইম আদালতে। অর্থাৎ আইনের ৩৪ ধারায় বলা হয়েছে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ অনুযায়ী গঠিত সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল ও সাইবার আপিল ট্রাইব্যুনালের বিধান এ আইনেও প্রযোজ্য হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com