মাহমুদুর রহমান তারেক ::
সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সারাদেশে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয় কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল। প্রতি বছরের মত এবারও সুনামগঞ্জ জেলার কোথাও সরকারিভাবে ধান ক্রয় শুরু করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নির্দেশনাপত্র দেরিতে হাতে আসায় বৃহস্পতিবার ধান ক্রয় করা শুরু করা যায়নি।
গত ২৪ এপ্রিল সচিবালয়ে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠকের পর খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ৫ মে থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সরকারিভাবে ধান ও চাল সংগ্রহ করা হবে। এবার মোট ১৩ লাখ মেট্রিক টন ধান ও চাল কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৭ লাখ মেট্রিক টন ধান, বাকিটা চাল কেনা হবে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এবার ২৩টাকা দরে ৯২০ টাকা মণ ধান ও ৩২ টাকা দরে ১২৮০ টাকা মণ চাল কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ক্রয় করা হবে। তবে এখনো আতব চালের দাম নির্ধারণ করা হয়নি। এবছর জেলার ১১টি উপজেলায় মোট ৩০ হাজার ৭শত মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়নি।
এছাড়া প্রায় আড়াই শতাধিক চালকল থেকে ধান-চাল ক্রয় করা হবে। এদিকে জেলায় প্রায় লক্ষাধিক হেক্টর বোরো জমি অতি বৃষ্টি, শীলা বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে। ফসল হারিয়ে কৃষকরা সর্বস্বান্ত। এমন অবস্থায় ধান-চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে কিনা এ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার দেখার হাওরের কৃষক এহসান মিয়া বলেন, দাম বেশি দিয়ে আমরা কি করবো, হাওরে তো ধান নেই। এবার সব ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।
তাহিরপুরের শনির হাওরের কৃষক টিটু পুরকায়স্থ বলেন, বোরো ফলনের অধিকাংশ পানিতে তলিয়ে গেছে, কিছু ধান কাটতে পেরেছি, কিন্তু এগুলো বিক্রি করবো না। বছরের খোরাকের জন্য রেখে দিব।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, ধান চাল কেনার নির্দেশনাপত্র দেরিতে আসায় বৃহস্পতিবার কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। তবে আশা করছি রোববার থেকে পুরোদমে ধান-চাল ক্রয় শুরু করতে পারবো।