স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মী নরুল্লা গ্রামের আয়ুব আলী খুনের ঘটনায় সুনামগঞ্জ সদর আমল গ্রহণকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী রুফিয়া বেগম বাদী হয়ে জাতীয় পার্টির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান নূরুল হককে প্রধান আসামি করে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন নূরুল হকের ভাতিজা আমিনুর রশিদ, নরুল্লা গ্রামের কমর আলী, আরব আলী, আবিদ আলী, আশরাফ আলী, ছত্তার মিয়া, আরজ আলী, ফখর উদ্দিন এবং মসিউর রহমান রাসেল। গত ২৮ এপ্রিল আদালতে এই মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২০ এপ্রিল মোহনপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মঈনউল হকের নির্বাচনী সভা থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন নরুল্লা গ্রামের আয়ূব আলী। নিখোঁজের দিন তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী সভায় বক্তব্যও দিয়েছিলেন। আসার পথে একটি মোবাইল ফোন পেয়ে তিনি রহমতপুর গ্রামে নৌকা থেকে নেমে যান। পরে উজান রামনগর থেকে রাতেই তিনি নিখোঁজ হন। পরে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পরদিন তার স্ত্রী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। গত ২৩ এপ্রিল নির্বাচনের দিন দুপুরবেলা পৈন্দা নদীতে লাশ পাওয়া যায় আয়ূব আলীর। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দিয়েছে বলে মনে করেন নিহতের পরিবার।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে জাতীয় পার্টি মনোনীত নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. নূরুল হককে। এ ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে মনে করেন নিহতের পরিবার।
এদিকে আদালতে মামলা দায়েরের পর সুনামগঞ্জ সদর আমল গ্রহণকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শহীদুল আমিন মামলটি গ্রহণ করে তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সদর থানার ওসি মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, আদালতে মামলা হয়েছে বলে আমরা শোনেছি। এখনো আদালত থেকে আমাদের কাছে কোন কাগজ আসেনি। কাগজ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।