বিশেষ প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জ সদর, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, দোয়ারাবাজার, ছাতকের পর এবার জগন্নাথপুর উপজেলায় ৩টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। শীর্ষ নেতারা নিজেদের পক্ষের প্রার্থী মনোনয়ন দিতে গিয়ে বিতর্কিতদের জায়গা দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বঞ্চিতপ্রার্থীরা দল মনোনীতদের মেনে নিতে পারছেন না। অনেকেই স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে আ.লীগ নেতা দ্বীপক কান্তি দে দিপালকে। তাঁর মনোনয়ন মেনে নিতে পারছেন না অপর দুই শক্তিশালী প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাসিম ও জেলা যুবলীগ নেতা আলাল হোসেন রানা। দিপালকে মনোনয়ন দেয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আলোচনার ঝড় ওঠেছে। অনেকেই তাঁকে ‘দুর্বলপ্রার্থী’ আখ্যায়িত করেছেন।
কলকলিয়া ইউনিয়নের মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থী আলাল হোসেন রানা যোগ্য ব্যক্তিকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন।
পাটলি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বাদ পড়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান সিরাজুল হক। তাঁর বদলে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে সাবেক চেয়ারম্যান আঙ্গুর মিয়াকে। এই ইউনিয়নেও মনোনয়ন নিয়ে দলে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।
আশারকান্দি ইউনিয়নে বাদ পড়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আয়ূব খান। চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন শাহ আবু ঈমানী। এই ইউনিয়নে মনোনয়ন চেয়েছিলেন উপজেলা আ.লীগ নেতা আব্দুল আহাদ মদরিছ মিয়া, সাবেক উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক শহিদুর রহমান লেচু, ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আজাদ কাবেরী, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি হামিদুর রহমান চৌধুরী বাচ্চু, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হোসাইন মো. রাজন। শাহ আবু ঈমানীর মনোনয়ন কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না অন্য প্রার্থীরা।
মনোনয়ন বঞ্চিতপ্রার্থী হামিদুর রহমান চৌধুরী বাচ্চু বলেন, কালো টাকা দিয়ে মনোনয়ন কিনে এনেছেন শাহ আবু ঈমানী। ’৭১ সালে তাদের পরিবারের ভূমিকা নিয়েও বিতর্ক আছে। তাঁকে কোন দিনই রাজপথের মিছিল-সমাবেশে দেখা যায় নি। আমি ছাত্রলীগ করেছি। যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাকে ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের সুখে-দুখে দাঁড়াতে দেখেনি। তার মনোনয়ন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মেনে নেননি। আমার তাঁর মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানাই।
অবশ্য উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল রিজু সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দলীয় সভানেত্রী প্রার্থী শেখ হাসিনা প্রার্থী চূড়ান্ত করেছেন। মনোনয়নপ্রাপ্তরা সবাই আ.লীগের।