স্টাফ রিপোর্টার ::
গত ২০ এপ্রিল মোহনপুর ইউনিয়ন আ.লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী সভা থেকে রাতে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন ইউনিয়নের নরুল্লা গ্রামের আ.লীগ কর্মী আয়ূব আলী (৩৫)। গত ২৩ এপ্রিল সকালে পৈন্দা নদী থেকে (সুরমা) পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। নিখোঁজের দিন রাতে তিনি বাড়ি না ফেরায় এবং মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় পরদিন ২১ এপ্রিল থানায় আয়ূব আলীর ভাই সাধারণ ডায়েরি করেন। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার হত্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের ধারণা নির্বাচন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তিনি খুন হয়েছেন।
জানা যায়, গত ২০ এপ্রিল সন্ধ্যায় ইউনিয়নের মুড়ারবন্দ গ্রামে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মঈনউল হকের নির্বাচনী সভায় যোগ দেন আয়ূব আলী। প্রচারণা চালিয়ে রাতে নৌকাযোগে বাড়ি ফেরার পথে তার মোবাইল ফোনে একটি ফোন আসলে রহমতপুর গ্রামের ঘাটে তিনি নেমে যান। পরে উজান রামনগর হয়ে প্রচারণা চালিয়ে বাড়ি ফেরার জন্য তিনি নৌকার জন্য অপেক্ষা করেন। রাতে পরিবারের লোকজন মোবাইলে যোগাযোগ করে বন্ধ পান। দিনেও বন্ধ থাকায় পরদিন বৃহস্পতিবার পরিবারের লোকজন সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
২৩ এপ্রিল নির্বাচনের দিন দুপুরে পৈন্দা নদীতে তার লাশ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
মোহনপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মঈনউল হক বলেন, আয়ূব আলী আমার বিশ্বস্ত কর্মী। ২০ এপ্রিল রাতে সে আমার নির্বাচনী জনসভা থেকে প্রচারণা চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়। পরদিন সে বাড়ি না ফেরায় এবং তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। নির্বাচনের দিন দুপুরে তার লাশ নদীতে পাওয়া যায়। আমার পক্ষে প্রচারণা চালানোয় তাকে খুন করা হতে পারে। আমরা এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।