স্টাফ রিপোর্টার ::
তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে সুনামগঞ্জের ২৬ ইউনিয়নে আ.লীগের ভরাডুবির নানা কারণ চিহ্নিত করেছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তারা জানিয়েছেন মনোনয়ন দেওয়ার পর দলের দায়িত্বশীল নেতারা আর প্রার্থীদের খোঁজ নেননি। ফলে তৃণমূলের কোন্দল থামানো সম্ভব হয়নি। যার কারণে বিভক্ত তৃণমূল কর্মীরা অনেক স্থানে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করেছেন। এসব কারণেই বিশেষ করে সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হয়েছে বলে তারা মনে করেন।
তৃণমূল কর্মী ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জানান, মনোনয়ন পাওয়ার পর জেলা উপজেলার দায়িত্বশীল নেতারা প্রার্থীদের খোঁজ নেননি। তাই স্থানীয় কিছু নেতাকর্মী এবং আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব নিয়েই তারা প্রচারণা চালিয়েছেন। কয়েকটি স্থানে কিছু শীর্ষ নেতাদের কদাচিৎ দেখা গেলেও আন্তরিকতার অভাব ছিল। ওই নেতারা সমাবেশে যোগ দিলেও তৃণমূলের কোন্দল নিরসন করে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে তৃণমূল কর্মীদের ভিড়াতে পারেননি।
পরাজিত প্রার্থীরা জানান, জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের কাছে তৃণমূল আওয়ামী লীগের কিছু প্রভাবশালী নেতা-কর্মী এবং বিদ্রোহী প্রার্থীদের উৎপাত বিষয়ে অবগত করলেও ওই নেতারা ছিলেন নীরব। তারা দলীয় প্রার্থীর পক্ষে গিয়ে আন্তরিকভাবে প্রচারণা চালানো দূরের কথা নির্বাচনের আগ পর্যন্ত এমনকি নির্বাচনের দিন কোন খোঁজ খবর নেননি। অনেক স্থানে উল্টো দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েছেন বলে খোদ প্রার্থীরাই অভিযোগ করেছেন। অন্যদিকে বিএনপি-জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের পক্ষে জেলা নেতারা নিয়মিত প্রচারণা চালিয়েছিলেন। তারা নানা প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন আন্তরিকতার সঙ্গে।
কাঠইর ইউনিয়ন আওয়ামীগের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. বুরহান উদ্দিন বলেন, আমাদের দলের দুইজন বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে স্থানীয় নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে প্রচারণা চালানোয় সাধারণ ভোটাররা বিভ্রান্ত হয়ে রায় দিয়েছেন। শীর্ষ নেতৃত্ব বিদ্রোহীদের লাগাম টেনে ধরতে পারলে অবস্থা এরকম হতে পারতোনা।
গৌরারং ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের পরাজিত প্রার্থী হোসেন আলী বলেন, একা একা নিজের আত্মীয় স্বজন নিয়ে প্রচারণা চালিয়েছি। নির্বাচনের দুইদিন আগে জেলা এবং উপজেলার কিছু নেতাকর্মী আমার বিরুদ্ধে ভোটারদের বিভ্রান্ত করেছেন। তারা বিভিন্ন স্থানে আমাকে ভোট না দেওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের বলেছেন।