স্টাফ রিপোর্টার ::
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে বৃত্তির জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। সুনামগঞ্জ জেলায় ১ হাজার ৪৩৮ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছেন। এর মধ্যে ৬৫৬ জন ট্যালেন্টপুল, ৭৭৬ জন সাধারণ ও ৬ জন সম্পূরক কোটায় বৃত্তি পেয়েছেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সুনামগঞ্জ সদরে মোট বৃত্তি পেয়েছেন ২০০ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৮৮ জন ট্যালেন্টপুল এবং ১১২ জন সাধারণ বৃত্তি পেয়েছেন। দোয়ারাবাজার উপজেলায় মোট বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ১২৮ জন। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুলে ৭০ জন, সাধারণ বৃত্তি পেয়েছেন ৫৮ জন। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় মোট ৮৩ জন বৃত্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছেন ৪৯ জন ও সাধারণ বৃত্তি পেয়েছেন ৩৪ জন। ছাতকে ২৩৮ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছেন। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুল ১০২ জন, সাধারণ বৃত্তি পেয়েছেন ১৩৬ জন। তাহিরপুরে ১০০ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছেন। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুলে ৫৪ জন ও সাধারণ বৃত্তি পেয়েছেন ৪৬ জন। জামালগঞ্জে মোট বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭৪ জন। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুলে ৪০ জন ও সাধারণ বৃত্তি পেয়েছেন ৩৪ জন। ধর্মপাশায় উপজেলায় ১২৪ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছেন। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছেন ৬০ জন ও সাধারণ বৃত্তি পেয়েছেন ৬৪ জন। শাল্লা উপজেলায় বৃত্তিপ্রাপ্ত মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৪ জন। এর ট্যালেন্টপুল ২৬ জন, সাধারণ বৃত্তি পেয়েছেন ২৮ জন। দিরাই উপজেলায় বৃত্তি পেয়েছে ১৬৭ জন। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুলে ৫৫, সাধারণ বৃত্তি ১০৬ এবং সম্পূরক বৃত্তি পেয়েছেন ৬ জন শিক্ষার্থী।
জগন্নাথপুর উপজেলায় বৃত্তিপ্রাপ্ত মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬৯ জন। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি পেয়েছেন ৬৩ জন, সাধারণ বৃত্তি পেয়েছেন ১০৬ জন। দক্ষিণ সুনামগঞ্জে বৃত্তি পেয়েছেন ১০১ জন। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুলে ৪৯, সাধারণ বৃত্তি পেয়েছেন ৫২ জন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ঝরে পড়া রোধ, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি, মেধার স্বীকৃতি ও সুষম মেধা বিকাশের লক্ষ্যে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এই বৃত্তি দেওয়া হয়। এর ফলে সব শিক্ষার্থী বৃত্তি পাওয়ার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারে এবং শিক্ষার মান বৃদ্ধি পায়।
ফিজার জানান, এতদিন ২২ হাজার ট্যালেন্টপুল এবং ৩৩ হাজার সাধারণ বৃত্তি দেওয়া হলেও বৃত্তিপ্রাপ্তদের সংখ্যা ২৭ হাজার ৫০০টি বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি বৃত্তির অর্থের পরিমাণ বেড়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আগে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ২০০ টাকা করে দেওয়া হলেও এবার থেকে ৩০০ টাকা এবং সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ১৫০ টাকার পরিবর্তে ২২৫ টাকা করে দেওয়া হবে।
ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত তিন বছর বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা বৃত্তির টাকা পায়।
আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়ার জন্য আলাদা পরীক্ষা নেওয়া হতো। ২০১০ সালে সমাপনী পরীক্ষা চালুর পর তার ফলের ভিত্তিতেই উপজেলাভিত্তিক এ বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।
বৃত্তিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও অর্থের পরিমাণ বাড়াতে নীতিমালাও সংশোধন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, এ বছর সারাদেশে ট্যালেন্টপুল ও সাধারণ কোটায় বৃত্তি পেয়েছে ৮২ হাজার ৫০০ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুলে পেয়েছে ৩৩ হাজার। এর আগের বছর পেয়েছিল ২২ হাজার। আর সাধারণ কোটায় বৃত্তি পেয়েছে ৪৯ হাজার ৫০০ জন, যা পূর্বে ছিল ৩৩ হাজার শিক্ষার্থীর।